মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে উত্তম চরিত্রে
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ এএম

আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে নবি-রাসুলগণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেয়া। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। চরিত্র ঠিক রেখে জীবনতরী পরিচালনা করবে এবং চরিত্র বিধ্বংসী যে কোন আচার-আচরণ থেকে নিজেকে এবং অন্যকে রক্ষা করবে এটাই প্রত্যাশা করে ইসলাম। চরিত্রবান প্রশংসিত হয়। চরিত্রহীন লোক হয় সকলের কাছে ঘৃণিত। মহৎ চরিত্রের অধিকারী নবি মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রশংসায় আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে, আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (আল কুরআন,সুরা আল-কলম,আয়াত-৪)।
হযরত আবু উমামা বাহেলী (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি এমন লোকের জন্য জন্নাতের একপ্রান্তে একটি ঘরের জামিন হব, যে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকেও লোক প্রদর্শনী পরিত্যাগ করে,যদিও সে এর অধিকারী। আমি এমন লোকের জন্য জান্নাতের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি ঘরের যামিন হব, যে ঠাট্টাচ্ছলেও মিথ্যা পরিহার করে। আমি জান্নােেত সব্বোর্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের যামিন হব, এমন লোকের জন্য যে তার চরিত্রকে সৌন্দর্যম-িত করেছে। (আবু দাউদ)।
শুধু তা নয়, চরিত্রবান এ মহান সত্বার জীবনকে করেছেন আমাদের যাপিত জীবনের মডেল। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন,নিশ্চই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে উত্তম অনুপম আদর্শ রয়েছে। অতএব আল্লাহ-রাসুল নির্দেশিত পথ ও পন্থায় নিহিত রয়েছে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি। আল্লাহ-রাসুলের নীতি অনুসরণ ও অনুকরণ করেই চলতে হবে সকলকে, যেমনি করে আমাদের পূর্বসূরী হয়েছেন স্বরণীয়-বরণীয় ও আদর্শ মানুষ। তারা ছিলেন নীতি-নৈতিকতার শক্তভূমিতে অবিচল।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তন এত প্রকট যে,অনেকেই আচার-আচরণ সম্পর্কীয় ভুলেই যাচ্ছে। চরিত্রের খসে পড়ছে তাদের জীবন থেকে। নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা ইসলামি শিক্ষা থেকে দূরে থাকা। ইসলামে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন ফরজ করা হয়ছে। প্রত্যেক মুসলমানকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে। একদা জনৈক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেসা করল,ইয়া রসুলুল্লাহ! ধর্ম কী? জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সৎ স্বভাবই ধর্ম।
প্রত্যেক মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে উত্তম চরিত্র থাকা। নিজে সৎচরিত্রবান হতে হবে এবং অন্যকেও সৎচরিত্রবান হওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সৎ চরিত্রের গুণাবলী জ্ঞানীরা বলেছেন, লজ্জাশীলতা,সত্যবাদিতা, স্বল্পবাসী হওয়া, কোমল হৃদয়তা, অন্যকে সাহায্য করার প্রবৃত্তি, মন্দ-কাজবিমুখতা,অপরকে তৃরস্কার না করা, একটি পরিবার সুন্দর হবে যদি পরিবারের সদস্যরা উত্তম চরিত্রবান হয়। সমাজ সুন্দর হবে যদি সমাজের মানুষ উত্তম চরিত্রবান হয়। একটি দেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে যদি ওই রাষ্ট্রের মানুষ সৎ হয়।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গ্রেফতারকৃত ক্রীম আপা কেন এত ভাইরাল?

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে

বড়োদের শরীরে পা লাগলে কি করনীয় প্রসঙ্গে?

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি'র জনসভা

ধর্মীয় কারণে কোনো হিন্দু নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না

স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

মুক্তি পেয়েছে দ্য কিং অফ কিংস

কান উৎসবে পাম ডিঅর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো

বর্ষবরণে ‘চিত্রাঙ্গদা’র দু’টি প্রদর্শনী

ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ

নতুন আঙ্গিকে মঞ্চে নাটক শেষের কবিতার

স্বাধীনতা কনসার্ট স্থগিত হওয়ায় হতাশ আসিফ

ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহ ঢাকা ইউনাইটেডের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা জমিয়তে হিযবুল্লাহর বিক্ষোভ

কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের রাজনীতি

বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এই খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ

দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার মোতায়েন

ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতাদেশ : বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সাময়িক স্বস্তি, বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

অভিবাসীর প্রত্যাবর্তন ‘সহজ’ করার নির্দেশ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

নিউইয়র্কে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত স্পেনীয় পরিবারের ছয় সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু